Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার কর্তৃক ছিনতাইকারী চক্র গ্রেফতার ও মালামাল উদ্ধার


প্রকাশন তারিখ : 2025-02-11

কুমিল্লার কোতোয়ালি থেকে তৌফিক আহমেদ তমাল (৩৪) তার এক বন্ধুসহ গত ০৯/০২/২০২৫ তারিখ ভোরে কক্সবাজারে ঘুরতে আসেন। ঘুরতে এসে হোটেল রুমের খোজে একটি  অটোরিক্সা ভাড়া করে তারা হোটেলে ডিভাইনে যান। সেখানে রুম না পেয়ে অটোরিকশা চালক আসামি ১) সোহেলের সহযোগিতা চাইলে সোহেল তাদেরকে ভালো হোটেলে রুম খুজে দেবার কথা বলে ভোর ০৫:০০ টার দিকে হোটেল কক্সটুডের সামনে নির্জন রাস্তায় নিয়ে যান। পথিমধ্যে চালক সোহেল তার ফোনে কয়েকবার তাদের গতিবিধি নিয়ে অন্যদের সাথে কথাও বলেন। এরপর তারা হোটেল কক্সটুডে এর সামনের রাস্তায় যাওয়ার পর অপর একটি অটোরিকশায় করে আরও ০৩ জন দুষ্কৃতিকারী আসিয়া পর্যটক তমালকে ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখায় এবং তন্মাধ্যে একজন দুষ্কৃতিকারী তাহার হাতে থাকা চাকু দিয়া ভয় দেখাইয়া পর্যটক তমালের কাছে যা কিছু আছে তা দিয়ে দিতে বলে। এসময় আরেকজন দুষ্কৃতিকারী তমালের গলা চেপে ধরে তাকে কিলঘুষি মারতে শুরু করে। তখন তমাল রাস্তায় পড়ে গেলে তাকে বহনকারী অটোরিকশা চালক তার ও তার বন্ধুর মানিব্যাগ থেকে প্রায় ১১০০০/- (এগার) হাজার টাকা, সিটি ব্যাংক ও ইসলামী ব্যাংক এর ০২ (দুই) টি এটিএম কার্ড এবং মেট্রোরেলের পাস নিয়ে নেয়। এসময় অপর একজন দুষ্কৃতিকারী তমালের পড়নের প্যান্টের সামনের ডান পকেটে থাকা আমার ব্যবহৃত IPhone 16 pro max নিয়ে নেয়। তমালের অটোরিকশা চালকসহ মোট ০৪ জন দুষ্কৃতিকারী তাকে ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখাইয়া দস্যুতা সংঘটন করে তাকে মারধর করে তার নিকট থাকা নগদ টাকা, মোবাইল ফোন ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় মালামাল নিয়া দ্রুত ঘটনাস্থল হতে চলে যায়। তখন ঘটনাস্থলের আশপাশ এলাকা অন্ধকার ছিল। এঘটনার পর পর্যটক তমাল হোটেল কক্সটুডের সামনে গিয়া হোটেলের সিকিউরিটিদের ঘটনা জানানোর পর তারা তাকে ট্যুরিস্ট পুলিশের সহায়তা গ্রহণের পরামর্শ দেয়। 

 

                                     

 

পরবর্তীতে ট্যুরিস্ট পুলিশের একটি চৌকশ টিম পর্যটক তমালের থেকে অভিযোগ গ্রহণ করে আসামি গ্রেফতার ও মালামাল উদ্ধারের জন্য মাঠে নেমে পড়েন।  ট্যুরিস্ট পুলিশের চৌকশ তদন্ত টিম পর্যটক তমালকে সাথে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে থাকা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে তারা অটোরিকশা চালককে সনাক্ত করে। পরে ট্যুরিস্ট পুলিশের সহায়তায় অটোরিকশাচালক মোঃ সোহেল (২১), পিতা-নুর মোহাম্মদ, মাতা-রমিদা বেগম, সাং-পূর্ব লাইট হাউজ ফাতের ঘোনা, থানা-সদর, জেলা- কক্সবাজারকে ১০/০২/২০২৫ খ্রিঃ তারিখ সকাল অনুমান ১০:৩০ ঘটিকার সময় উক্ত আসামীর বাড়ি হইতে ট্যুরিস্ট পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে এবং উক্ত আসামীর হেফাজতে থাকা ১০,৫০০/-  টাকা উদ্ধারপূর্বক জব্দ করে। পরবর্তীতে উক্ত আসামী মোঃ সোহেলকে জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায় যে ছিনাইয়া নেওয়া IPhone 16 pro মোবাইল ফোনটি সে তাহার সহযোগীদের নিয়া কক্সবাজার শহরস্থ লাল দিঘীরপাড় সংলগ্ন মেইনরোডের দক্ষিন পাশে আসাদ কমপ্লেক্স এর নিচ তলায় অবস্থিত ০৪নং দোকান আলিফ আইটি জোন নামক মোবাইল ফোনের দোকানে বিক্রয় করেছে। উক্ত আসামীর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ট্যুরিস্ট পুলিশের চৌকশ টিম তমাল ও উক্ত আসামীকে সাথে নিয়া উক্ত মোবাইল ফোনের দোকানে গিয়া উক্ত দোকানে থাকা আসামী নূরুল আলম (২৮), পিতা-সৈয়দ আলম, মাতা-সাহানা বেগম, সাং-কোচপাড়া, থানা-চকরিয়া, জেলা-কক্সবাজার, বর্তমান সাং-পেশকার পাড়া, ৬নং ওয়ার্ড কক্সবাজার পৌরসভা, থানা-কক্সবাজার সদর, জেলা-কক্সবাজারকে আটক করে এবং তাহার হেফাজতে থাকা মোবাইল ফোনটি পর্যটক তমালের সনাক্তমতে ১০/০২/২০২৫ খ্রিঃ তারিখ দুপুর অনুমান ১২:২৫ ঘটিকায় উদ্ধারপূর্বক জব্দ করে। ধৃত আসামী মোঃ সোহেল পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জানায় যে, তাহার সহযোগী ১। মোঃ মনছুর আলম, ২। মোঃ দ্বীন ইসলাম ও ৩। ইদ্রিসগণ ঘটনার তারিখ অর্থাৎ ০৯/০২/২০২৫ খ্রিঃ তারিখ ভোর অনুমান ০৫:১০ ঘটিকার সময় ঘটনাস্থলে কক্সবাজার সুগন্ধা বীচের পার্শ্ববর্তী হোটেল কক্সটুডে এর সামনের রাস্তায় তমাল ও তার বন্ধুকে ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখাইয়া দস্যুতা সংঘটন করে পর্যটককে মারধর করে নগদ টাকা, মোবাইল ফোন ও অন্যান্য মালামাল ছিনাইয়া নিয়ে গিয়েছিল। পরে ট্যুরিস্ট পুলিশের চৌকশ টিম ধৃত আসামী মোঃ সোহেল ও নুরুল আলমকে সাথে নিয়া কক্সবাজার শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করিয়া দস্যুতা সংঘটনকারী ১। মোঃ মনছুর আলম (১৮), পিতা-মৃত শমসের আলম, মাতা-ফুলমতি, সাং-শাপলাপুর, ১নং ওয়ার্ড সদর ইউনিয়ন, থানা-টেকনাফ, জেলা-কক্সবাজার, বর্তমান সাং-পাহাড়তলী, আইয়ুবের বাড়ির ভাড়াটিয়া, থানা-কক্সবাজার সদর, জেলা- কক্সবাজার, ২। মোঃ দ্বীন ইসলাম (২০), পিতা-কোরবান আলী, মাতা-জোবাইদা বেগম, সাং-বাদশার ঘোনা, ৯নং ওয়ার্ড কক্সবাজার পৌরসভা, থানা-কক্সবাজার সদর, জেলা-কক্সবাজার ও ৩। ইদ্রিস (৩২), পিতা-জহির আলম, মাতা-মরিয়ম, সাং-সৈকত পাড়া, ১২নং ওয়ার্ড কক্সবাজার পৌরসভা, থানা- কক্সবাজার সদর, জেলা- কক্সবাজারদেরকে গ্রেফতার করে। পর্যটক তমাল ট্যুরিস্ট পুলিশের কার্যক্রম ও দ্রুততম সময়ে তার সাথে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার রহস্য উদঘাটন করতে পারায় তিনি ট্যুরিস্ট পুলিশের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। 

 

পরবর্তীতে ছিনতাইকারী চক্র ও চোরাইমালামাল ক্রয়ের অপরাধে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় ১১/০২/২০২৫ তারিখ, মামলা নং-২৫, ধারা- পেনাল কোড ৩৯৪/৪১১ ধারায় মামলা রুজু করে আসামীদেরকে বিচারের জন্য কোর্টে প্রেরন করা হয়। 

 

এবিষয়ে ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়নের মিডিয়া মুখপাত্র পুলিশ পরিদর্শক জনাব মো: গিয়াস উদ্দিন জানান,  পর্যটনকেন্দ্র কক্সবাজারকে নিরাপদ পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার বদ্ধপরিকর। যেকোনো ধরনের চুরি, ছিনতাই ও পর্যটক হয়রানিরোধে ২৪ ঘন্টা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা হচ্ছে। ভবিষ্যতেও এধরণের কার্যক্রম সর্বদা অব্যাহত থাকবে।

 

পর্যটন শান্তির সোপানে সর্বাগ্রে ট্যুরিস্ট পুলিশ বাংলাদেশ