গত ০১ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখ থেকে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মহোদয়ের নির্দেশনাক্রমে শুরু হয় পর্যটকদের জন্য সেন্টমার্টিন যাত্রা ও রাত্রীযাপন। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনাক্রমে পর্যটকদের জন্য বিভিন্ন বিধিনিষেধ বাস্তবায়ন ও সেন্টমার্টিনগামী প্রতিটি জাহাজে নিরাপত্তার জন্য নিয়োজিত হয় ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়নের ডিউটিরত সদস্যগণ নিয়মিত পর্যটকদের জাহাজে উঠা থেকে শুরু করে জাহাজ থেকে নামা এবং সেন্টমার্টিনে অবস্থানের সময় পর্যটকদের হয়রানিরোধে কাজ করে যাচ্ছেন। পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের দেয়া সেন্টমার্টিন সুরক্ষায় বিভিন্ন বিধিনিষেধ পর্যটকদের জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশ সদস্যগণ জাহাজে মাইকিং করে সতর্কতা ও নিয়মিতভাবে ট্যুরিজমের উন্নয়ন, জীববৈচিত্র্য রক্ষা ও নিরাপত্তা সংক্রান্তে পুলিশ সিকিউরিটি ব্রিফ করছেন। কোনো পর্যটক যাতে সিংগেল ইউজড প্লাস্টিক পরিবহন না করতে পারেন এবং ট্রাভেল পাস নিয়ে প্রত্যেকে ভ্রমণ করছেন কিনা সেবিষয়ে সম্মিলিতভাবে সকলের সাথে নজরদারি করছেন ট্যুরিস্ট পুলিশ। অন্যদিকে স্থানীয় নাগরিকদের জীবনমান উন্নয়ন, স্থানীয় পর্যটনের বিকাশ ও উন্নয়নে অংশীজনদের সাথে মতবিনিময় অব্যাহত রেখেছেন ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যবৃন্দ।
এছাড়া ডিউটিতে নিয়োজিত প্রত্যেক ট্যুরিস্ট পুলিশ সদস্যদের সঠিকভাবে সুপারভাইজ করার জন্য অত্র রিজিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সহকারী পুলিশ সুপার ও ইন্সপেক্টরগণ নিয়মিত জাহাজঘাটে উপস্থিত থাকছেন। বর্তমানে প্রতিটি জাহাজ কক্সবাজার সদরের নুনিয়ারছড়ার ৬নং ঘাট হতে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাচ্ছে। এতে প্রতি যাত্রায় সময় লাগছে প্রায় ৫-৬ ঘন্টা। পর্যটকগণ অত্যন্ত আনন্দ নিয়েই সেন্টমার্টিন ভ্রমণ করছেন। সেন্টমার্টিনে এখন সীমিত পর্যটক হওয়ায় কোলাহলমুক্ত ও ভীড় এড়িয়ে আরও বেশি সৌন্দর্য ও নীরবতা উপভোগ করা সম্ভব হচ্ছে।
এ সংক্রান্তে কক্সবাজার রিজিয়নের ট্যুরিস্ট পুলিশের মিডিয়া মুখপাত্র সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবুল কালাম জানান যে, কক্সবাজার এবং সেন্টমার্টিন পর্যটনের জন্য বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ও আকর্ষণীয় জায়গা। দুই জায়গায় একই সাথে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার। প্রয়োজনের অধিক কম জনবল নিয়েও সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও সেবা দেয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার। পরিবেশ মন্ত্রণালয় ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক সেন্টমার্টিনের পরিবেশ সুরক্ষিত রেখে পর্যটকদের ভ্রমণ আনন্দিত করতে নিয়মিত কাজ করছে ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়ন।
পর্যটন শান্তির সোপানে সর্বাগ্রে ট্যুরিস্ট পুলিশ বাংলাদেশ।